মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ৮ (স্বপ্নকন্যার পরিচয়)

তুমি মেঘলা আকাশে কালো মেঘ,
বৈশাখী ঝরে বয়ে আসা জোর বাতাসের বেগ।
তুমি চাঁদনি রাতে রহস্যময় অন্ধকার,
মায়াবী হাসিতে হাস্যকর তোমার বদ্ধ দুয়ার।
তুমি অরণ্যের মধ্যখানে বন্য সবুজ,
দিগন্তের শেষাংশে তুমি হলে নিখোঁজ।
তুমি কোকিলের কন্ঠে আনন্দের সুর,
গ্রীষ্মের কড়া রোদে তুমি রোদেলা দুপুর।
তুমি সাগরে বয়ে আসা সমুদ্রস্রোত,
অচিন দেশ হতে আগ্রত তুমি অচেনা এক দূত।
তুমি হিমালয় থেকে পতীত হওয়া নরম বরফের আস্তারন,
গোলাপের পাপড়িতে যেন তুমি কোমলতার বিবরণ।
তুমি সৌন্দর্যে সজ্জিত এক অপূর্ব সাজ,
নকশী কাঁথায় বুনে উঠা সুই সুতায় তুমি কারুকাজ।
তুমি প্রেমের বন্দরে নির্বাক প্রেমে ভাস্য পূর্বাভাস,
শীতলার শীতল শিহরনে তুমি অসমাপ্ত বিশাল সেই আকাশ।
তুমি নিশি কাটানো ফুল শয্যায় শয়ন সঙ্গ,
আগুনজরা রুপে আগলে রাখা প্রতিটি রুপসী তোমার অঙ্গ।
তুমি আলতো ছোঁয়াতে ভেসে উড়া বাতাসে সাদা কাশফুল,
কাজলকালো দীর্ঘ বেনীতে নারিকেল তেলে সুবাসিত তোমার আঁচড়ানো চুল।
তুমি স্বপ্নদেশে বসবাসকারী সুন্দরী যুবতি রুপসী এক কন্যা,
যেন তোমার যৌবনে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে আসা অফুরন্ত রূপের বন্যা।
তুমি সেই রুপের বন্যায় ভেসা আসা সবুজ ঘাসের কচি পাতায় বিরাজমান একফোঁটা শিশির বিন্দু,
জীবনের এই চলার পথে তুমি সর্বশেষ এবং সর্বস্ব স্থায়ী একমাত্র বন্ধু।
তুমি হলে সেই অর্ধাঙ্গিনী যার হাতের উপর থাকবে আমার হাত,
প্রেমের ভেলায় ভালবাসার খেলায় ব্যস্ত তুমি নিদ্রাহীন আমার অশান্ত রাত।
তুমি জাগ্রত অবস্থায় দর্শন করা প্রতিটি আমার স্বপ্ন,
ঘুমন্ত বুকে তোমার পায়ে নূপুরের ধ্বনি সর্বদা ধ্বনিত হয় ভিন্ন।
তুমি হলে শেষ গন্তব্যস্থান যেখানে আমার শেষ অশ্রয়,
চলনায় চলনশীল মায়াবী চোখে চলমান যত চঞ্চল তোমার প্রশ্রয়।
তুমি রাত্রির কালো আকাশে অসংখ্য তারোকার মধ্যমনি একখানা চাঁদ,
আদরে স্পর্শ করা পীট হতে তোমার কোমল মসৃণ মোলায়েম কাঁধ।
তুমি আমার বিনোদনের আয়োজন দৈনন্দিনের প্রয়োজন,
অগুছালো জীবনে তুমি একান্ত অপনজন।
তুমি পরাজিত হৃদয়ের একমাত্র বৈধ দাবিদার,
দেহে-মনে তোমার অগণিত অধিকার।
তুমি মেঘ না চাইতে নভস্থল হতে পড়ন্ত বৃষ্টি,
আলতোভাবে সঙঘৃষ্ট হওয়া নরম ঠোঁট তুলনাহীন মিষ্টি।
তুমি অফুরন্ত সুখে সুখময় জীবনের জীবন্ত প্রতিটি প্রহর,
দোলনার মত দোলন্ত তোমার তরবারি সদৃশ ধারালো ক্ষিপ্ত কোমর।
তুমি অতীতে হাজারো সময়জুড়ে ফেলে আসা আমার পুরনো যত ভাবনা,
রঙ্গিন রঙ্গে তুমি রাঙ্গায়িত আমার ভবিষ্যৎ আঙ্গিনা।
তুমি সৌন্দর্যে সজ্জিত বাগানে ফুটন্ত নিষ্পাপ পুষ্প হতে ভেসে আসা মনোরম সুগন্ধ,
সে সুগন্ধে সুবাসিনী তুমি প্রাণোবন্ত দিগন্তের সীমাহীন প্রবন্ধ।
তুমি পহেলা বৈশাখে বরণকরা উল্লাসিত বাংলা নববর্ষ ,
সহবাসে উদ্দীপ্ত হওয়া তোমার অগ্নিময় উত্তাল স্পর্শ।
তুমি শীতল ছায়া দানকারী ছায়াময় এক বৃক্ষ,
ভালবাসায় উতসর্গ তোমার স্পন্দিত হওয়া বক্ষ।
পরিশেষে তুমি এই কবিতা লিপিকারের অস্তিত্বহীন রাণী,
স্বপ্নদেশের কল্পনার আলোকে বর্ণিত এই কবিতার প্রতিটি লিখিত বানী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন