মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪

উত্তর হতে প্রশ্ন

জীবন যোদ্ধে আমি এক পরাজিত যোদ্ধা,
নই জীবিত, নই তবু মুর্দা।
নই ভূমির আবরণে, নই ভূমির স্তরে,
নই প্রাণী প্রাণে, নই লাশ, যা হয়ে যায় মরে।
নেই আশা-ভালবাসা, নেই এক মুঠো আকাশ,
নেই কথা, নেই ব্যথা, শূন্যতায় বসবাস।
খালি লাগে শূন্যস্থানে, কোন বাক্যে বসবে সে,
তার প্রতিক্ষায় নিশি ফুরায়, জানি না তবু আসবে কে।
অচেনা শহরে আমার প্রহরে আমি মরি প্রতিদিন,
সহজ-সরল রূপ-রঙ্গে ব্যস্ত জীবন খুব কঠিন।
হেসেও হাসি না, কেঁদেও কাঁদি না, অশ্রু নিয়েছে ছুটি, 
মুখে নিয়ে নকল হাসি, মিটে গেছে সব খাঁটি।
বেঁচে আছি অভিনয়ে, মন তবু মৃত,
কথার ভীড়ে পা পৃষ্ট হয়েছি অজানিত হবে যত।
প্রশ্ন মনের দেয় না উত্তর, উত্তর দেয় প্রশ্ন,
দূঃখ নেই একবিন্দু, তবু দুঃখী কীসের জন্য ?

আমি তুমি ও প্রেম

চোখ বন্ধ করিলে দেখি তোমার চোখ,
ভালো লাগিল অন্তর-আত্মায় 
আসিল প্রেম অসুখ।
সে অসুখে ঘুম আসে না
সময় হয় না পাড়,
ভাবনার জানালা যায় খোলিয়া 
কল্পনায় দেখা পাই তোমার।
তুমি আসিয়া এক চিলতে হাসিয়া 
ভাসাইয়া দেও মোরে,
আমি উম্মাদ তোমার প্রেমে 
আসিতে চাই তোমার হৃদয় ঘরে,
ফুল হইয়া ফুটিতে চাই 
প্রভাতে তোমার দ্বারে,
বৃষ্টি আসিলে ভিজিবো আমি
লুকাবনা প্লাবনে ঝড়ে।
হাত বাড়াইয়া তুমি ধরিবে 
নিবে এক বুক শ্বাস,
সুগন্ধে মোরে না জড়িয়া ধরিলে 
হইবেনা প্রেম হ্রাস।
তোমারও বুকে প্রেম জাগিবে 
একদা আমার নামে,
সেইদিন তুমি আসিবে কাছে 
নীল রঙ্গের খামে।
আমি খোঁজিবোনা চিঠি, 
খোঁঁজিবোনা জোঁনাকি পরী
যাহা জ্বলে যায় মিটিমিটি।
আমি খোঁজিবো উষসীতে
প্রেমের দরিয়ায় খোঁজিবো 
আবারও এক চিলতে হাসি,
বলিবো শীগ্রি আমি 
আমি তোমাতে ভালবাসি।
করিবো না দেরি 
প্রেমের বিরহ লাগে না ভালো আর,
প্রেমের নিবেদন শুনিয়া তুমি
করিও না বন্ধ দ্বার,
ভালবাসিও মোরে
আমি বাসি তোমায়
না বাসিলেও অভিনয় প্রেমের 
করে যেও একবার।

শিশিরের শব্দ

একটি শিশিরের শব্দ ধ্বনিত হল কর্ণে,
কি যেন একটা বলে গেল সল্পভাষী বর্ণে।
আমি ব্যস্ত ছিলাম শীতের চাদরে,
শীতলায় উষ্ণ আদরে,
স্পষ্ট হয় নি শোনা শিশিরের শব্দ
বুঝেছি তবু, ধরা দিয়েছে
হৃদয়ে ফোটেছে পদ্ম।

ভালবাসার নূতন বীজ হতে 
প্রেমের শিকড় আখড়ে ধরেছে মন,
অনুভূতিতে শিশিরের ছন্দ 
ছুঁয়ে যায় সারাক্ষণ।
অবেগ জাগ্রত প্রণয় জ্বলে উঠে,
শিশির ভেজা প্রতিটি ঘাসে
শৈত্য মনের সবুজ মাঠে।

অসময়ে অবেলা আচকা
কুয়াশার চাদর গাঁয়ে মুড়িয়ে 
হেঁটে যায় প্রেম প্রিয়সী,
আমি দূর হতে তাকে দেখে 
নিজ নয়নে শিশির জলে যাই ভাসি।

রাত্রি জাগবো

রাত্রি জাগিতে নাই বারণ,
রাত্রি জাগি তাই অকারণ।
সময় গুনি সময়ের সাথে,
জেগে থাকি রোজ প্রভাতে।
স্বপ্ন দেখি মুক্ত চোখে,
মুক্ত মনের যুক্ত বুকে।
আঁধার আসিলে শঙ্কা জাগে,
রাত্রির বুকে চলিনি আগে।
আজই প্রথম আজই শেষ,
জেগি আছি তাই করেছি বেশ।
জাগবো আরও ইচ্ছে হলে,
পারলে থামাও নিজের বলে।

না বলা যত গোপন কথা

জীবনের গোপন কথাগুলো 
কোথায় লিখে রাখি,
না বলা কথাগুলো 
আজও বলার বাকি।
শত কথা বলি নিশিতে দিনে
তবু বলা হয় না গোপন কথা,
জেগে জেগে কেঁদেছি
জানি না কেন অযথা।
ফুরিয়ে গেছে বিষাদের রাত
সাথে আমিও ফুরিয়ে গেছি,
গোপন কথা মনেতে রেখে 
গোপনে কষ্টে আছি।
বলিনি কখনো, কেউ জানে না
জানবেনা হয়ত,
কত কথা রেখেছি মনে 
লুকিয়ে রেখেছি গুপ্ত।
সুপ্ত মনের কাকতারুয়া 
গোপনে মরে যাবে,
বাসনা যত স্বপ্ন তত
তাতেই কষ্ট সবে।
লিখতে গিয়ে তমে যায় কলম
ঝরেনা তার কালি,
কালির বদলে রক্ত ঝরে
ভিজে মনের চূঁড়াবালি।
আমিও সই যন্ত্রণা নিরবে
মরি গোপনে বারেবার,
বেঁচেও বাঁচি না গোপন কথা
ছিঁড়ে খায় শতবার।
আমি তো আর নেই আমি
চলে গেছে চাকচিক্য,
বেকার লাগে নিঃস্বতায় 
নিঃস্ব পাথরের বক্ষ।
আমি না হয় বলবো একদিন
গোপন কথার রহস্য,
সেইদিন কি আবার ফিরে পাবো 
বেঁচে থাকার উৎস।
যদি না পাই সেই কারণে
এই প্রাণ চলে যায়,
দূঃখ নেই হে আমার প্রিয় 
মনে রেখো আগেই বলেছি বিদায়।

অলেখা একটি গল্প

গল্প লিখতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত গল্প লেখা হল না
ভাবলাম গল্পের শুরুটা হবে আমার গল্পের আলোকে
শেষের দিক হবে ভিন্ন।

গল্পের মধ্যে থাকবে আমার গল্প, তোমার গল্প,
দুজনের ছোট্ট ছোট্ট ভালো লাগার গল্প,
ভালবাসার গল্প।

গল্পের মধ্যে একটা মোড় থাকবে
সেখানে তুমি হারিয়ে যাবে,
আমি একা হয়ে কিছু সময় কাটাবো
আমি কাঁদবো, ভেঙ্গে সবকিছু চূঁরমার করবো।

তারপর একদিন তুমি ফিরে আসবে
নিজের হাতে মুছে দিবে আমার চোখের অশ্রু।

কিন্তু গল্প তো গল্পোই, 
আমার বাস্তব আমার গল্পের বিপরিত।

নিজের বাস্তব দেখে নিজেরি কান্না পায়
তাই গল্প লিখতে গিয়েও গল্প লেখা হয় না।

তোমাতেই প্রেম ৬

ভালবাসি এই ছোট্ট কথা বলবো তোকে আজ,
তোর জনে্য ছেড়ে দেবো সকল কর্ম-কাজ।
সারাদিন তোর প্রেমে গেয়ে যাবো গান,
ফুল দিবো যখন তখন করবি অভিমান।
রোজ রাতে কথা বলবো দীর্ঘ সময় ফোনে,
ভালবাসি মিষ্টি সুরে বলবো তোরি কানে।

তোর অপেক্ষায় রাত্রি জেগে ফুরাবো সারারাত,
দেখা হলে শক্ত করে ধরবো তোর হাত।
প্রেমের পরীক্ষা নিবি তুই বারবার অবিরত,
আমার প্রেমে ভালবাসা মাপা যাবেনা রয়েছে কত।

বৃষ্টি এলে বৃষ্টিতে ভিজবো দুজনে একসাথে,
ভালবাসি বলবো তখন মনের গভীর স্থান হতে।
হাঁটবো দুজনে একসঙ্গে একই পথের একধারে,
মিষ্টি প্রেমের প্রলাপ হবে দুটি মনের এক সুরে।

জীবন তরী

জীবন নামক ছোট্ট তরী 
ভাসিয়ে দিলাম জলে,
স্রোত এসে ধাক্কা দিল 
নিজের কৌতুহলে।
উজান ভাটার টানে শুকিয়ে গেল 
মনের শক্ত আঘাত,
চাঁন্দের সামনে আসলো হটাৎ 
জোঁনাকহীন রাত।
ঘোর অন্ধকারে জীবন তরীতে 
ধরেছে ধরি গতি,
চোখের পিছে পাল্টে গেছে 
প্রিয় লজ্জাবতি।
তাকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল 
ভাসবো এক স্রোতে,
সেই স্বপ্ন আর দেখে না নয়ন 
সকাল সন্ধ্যা রাতে।
জীবন তরীতে একলা আমি
সঙ্গী আমার ভয়,
বুকের ভেতর আস্ত খালি 
নেই সঞ্চিত প্রণয়।
ঘুরে ফিরে যাযাবর হৃদয় 
বিশ্রাম চায় ঘুমে,
নিদ্রা আসে না আকাশ-কুসুম 
ভাবনা যখন নামে।
ভাবুক আমি জীবন তরীতে 
অংক কষে ভাবি,
চাওয়া-পাওয়ার বিবেক বন্দী রেখে 
খুয়া গেছে তার চাবি।
জীবন তরীতে নেমেছি তাই 
হারানো বিবেকের খোঁজে,
পাই না বিবেক পাষাণ আমি 
নিজেই নিজের মাঝে।

প্রভুর ঠিকানা

প্রভু দেখেনি তোমায় কেউ কভু,
মান্য করে সবাই তবু।
এ কেমন কথা কেমন বিধান,
প্রভু কি আছে কি তার প্রমাণ।
প্রভুকে ডাকি পাইনা সাড়া,
প্রভু বলেন তোমরা কাড়া।
আমরা প্রভু পূঁজারী তোমার জপি তোমার নাম,
তোমার নামে মসজিদ মন্দির গড়ি অবিরাম।
আমরা তোমার সেরা সৃষ্টি, মানুষ পরিচয়,
পশু হতে জগন্য মোরা, মনুষ্যত্বের করি ক্ষয়।
আমরা প্রভু ঝগড়া করি, ধর্ম নিয়ে করি খেলা,
রক্ত জরাই গঙ্গার জলে ভাসাই লাশের ভেলা।
তবু প্রভু তোমার দেখা পাইনা একবার,
তোমার ঠিকানা খোঁজায় মোরা ব্যর্থ বারবার।

আমার আমি

অন্ধকার আমার পথ
পথের অসংঙ্গিত গানে,
কি আছে আমার ভেতর 
এই কথাটি কি কেউ জানে।
জানে কি কে আমি
কি আমার আসল রূপ,
মনের ভেতর দীর্ঘস্থায়ী
অশ্রুঝরা জলকূপ।
কেউ কি জানে হাসি আমি
কি কারণে কোন পথে,
বাঁধা আসলে আসুক বাঁধা
চলবো আমি নিজ রথে।
বলবো আমি যা বলেনা কেউ
চুক্ষুলজ্জা দেয়া বাঁধা,
স্নান করবো নোংরা জলে
গায়ে মাখিয়ে কাঁদা।
ভয় দেখায় দুষ্টু সমাজ
ভয় দেখায় পরিবার,
ধর্মের নেই কর্ম
মানি আমি যা আমার।
মানি নিজেকে নিজেই আমি
নিজেই নিজের ধাতা,
মৃত্যু আসবে ধ্বংস নিয়ে
ঝরবে গাছের পাতা।
যে গাছের সবুজ পাতা
জপে আমার নাম,
বেকার মনের সারক্ষণ
যুক্তিহীন কাম।
ভবিষ্যৎ কি জানি না
মানি না যা অদৃশ্য,
গড়বো আমি নিজের হাতে
নিজেই নিজের বিশ্ব।

প্রার্থনা

দেহের সাথে আত্মার যখন ছিন্ন হবে সম্পর্ক,
শেষ নিঃশ্বাসে হিসাব কিতাব বন্ধ করবে অংক।
বাড়ি তখন হবে মাটি, বদ্ধ চারিধার,
সাড়ে তিন হাত মাটির তলে দেহ রবে আমার।
আত্মা তখন উড়ে বেড়াবে প্রিয় মানুষের ধারে,
দেখবে না তবে দু'চোখ খোলে কেউ আমারে।
দেখবে শুধু মনের চোখে আমার শেষ মুখ,
মৃত্যুর বর্ষে পালিত হবে অশ্রুঝরা শোক।
কাঁদবে তুমি প্রিয় মানুষ ভাববে আমার স্মৃতি,
আমার আত্মা দেখবে তোমার স্নেহময় প্রীতি।
আমিও চাইবো আসতে ফিরে প্রিয়জনের কাছে,
দু'হাত তুলে করবো প্রার্থনা নীল নভের নিচে।
বলবো প্রভু প্রাণ দাও আরো একবার,
আসতে চাই আবার ফিরে সবার মাঝে 
প্রিয়জন যত ছিল আমার।

স্বীয় অন্বেষণ

আমি মানুষ নই, আমি পশু নই,

মানুষ্যত্ব ও পশুত্ব,
এই দুইয়ের মধ্যবর্তী স্থান হলাম আমি।

আমি সব জানি, অথবা আমি কিছু জানি না,
আমি জানতে চাই না, জেনেও জানি না।

মানবতা কি? আমি জানি না, 
হিংস্রতা কি? আমি জানি না।

আমি অন্যের দুখে তার পাশে দাঁড়াই না
আমি অন্যের কষ্টে তার সাথে কাঁদি না
আমি অন্যের সুখে তার সাথে হাসি না
আমি অন্যের আনন্দে নিজের আনন্দ খোঁজি না।

আমি অন্যকে স্বপ্ন দেখাই না
নিজেও স্বপ্ন দেখি না।

আমি ঘুমাই না
ঘুমায় আমার দেহ,
আমি ক্লান্ত হই
ক্লান্ত হয় না আমার মন।

আমার চরিত্র
আমি মন্দ, আমি উত্তম,
আমি দিন, আমি রাত, 
আমি স্বার্থপর, আমি সদাশয়, 
আমি মিথ্যুক, আমি মিথ্যা,
আমি সত্য, আমি সত্তা।

আমি কবি, আমি ছন্দ,
আমি ছাত্র, আমি শিক্ষক,
আমি ধর্ম, আমি কর্ম, 
আমি মেঘ, আমি বৃষ্টি।

আমি কে, আমি কি, 
কি চাই, কি পাই?

প্রশ্ন খোঁজি, উত্তর খোঁজি
নিজেকে খোঁজি।

আমার ভেতর নতুন এক "আমি"কে খোঁজি।

ভালবাসা

সখী ভালবাসা কারে কয়,
ভালবাসা কি শুধু অভিনয়।
ভালবাসা কি শুধু দুই মানব,
নাকি সারা পৃথিবী
যা কিছু আছে সব।
ভালবাসা কি আবেগের বীজ,
নাকি একান্ত সম্পদ, তোমার নিজ।
ভালবাসা কি আকাশের নীল,
কেড়ে দেয় ছিনিয়ে 
হায়েনা শুকুন চিল।
ভালাবাসা কি মিষ্টি কথা
বুকের দীর্ঘশ্বাস,
ভালাবাসা কি দুই পথিকের 
এক পথে স্বর্গবাস।
ভালবাসা কি কবির লেখা 
পাখির ডানার কবিতা,
স্বাধীন আকাশে উড়ে স্বাধীনতা
ভালবাসায় পূর্ণতা।

চাঁদ সূর্যের গল্প

সূর্য লুকিয়েছে আত্নগোপনে 
মেঘের কালো শাড়ীর আঁচলে মুখ ঢেকে।

আর চাঁদ, সেও পাষাণ বড্ড, 
একবারো আসেনা যেখানে সূর্যের সিংসহাঁসন।

মিটিমিটি তারা, তাদের সঙ্গ পেয়েছে চাঁদ,
ভালোই সময় যাচ্ছে তার
একাকীত্ব কী জানেই না হয়ত সে।

সূর্য একা একা আকাশ ছোঁয়ে যায়,
পরিমাপ করে আকাশে 
ভালোবাসার দৈর্ঘ্য-প্রস্থ-উচ্চতা।

শীলত নীল জোস্নায় চাঁদ
ভুলে গিয়েছে সূর্যের স্মৃতি।

কিন্তু সূর্য সে প্রাণের উৎস
সূর্যহীন পৃথিবী অন্ধকারচ্ছন্ন বদ্ধভূমি।

বাচাল একটি মেয়ে

জেগে জেগে প্রহর গুনি 
পথের পানে চেয়ে,
ঘুমিয়ে আছে গভীর ঘুমে 
বাচাল সেই মেয়ে।
যে মেয়ে কথা বলে 
অবিরাম অবিরত,
শুনতে চাই জানা অজানা 
কথা তার রয়েছে যত।
বলো মেয়ে কথা তোমার 
কথার পিঠে চেপে,
শুনবো তাই সব কথা 
চন্দ্র তারায় মেপে।
ঘুমের দেশে ঘুমের ঘোরে 
তোমার চলাচল,
এই মেয়ে একবার তুই 
কথা খোলে বল।
চুপ হয়ে চুপটি মেরে 
ঘুমিয়ে আছে সে,
ঘুমিয়ে আছে গভীর ঘুমে 
বাচাল সেই মেয়ে।
মেয়ে তোমায় ডাকি আমি 
মধ্য এই রাতে,
কবিতা লিখি তোমার জন্য 
কলম নিয়ে হাতে।
কথা বলে আমার কলম 
তোমার কথার জন্য,
তোমার কথায় বেকুল আমি 
হয়েছি তাই বন্য।