আমি খোঁজেছি তোমাকে সূর্যালোকের তীরে,
কেঁদেছি অনন্তকাল অজস্র বালুকণার ভীড়ে।
সেই তুমি আজ কোথায়, আর আমিই বা কোথায়,
তবুও পঙ্কিরাজ উড়ে বেড়ায় স্বপ্নডাঙ্গায়।
হাজারো কথার মধ্য একটি কথা
বার বার শ্মরণ পড়ে
চেতনাহীন চেতনায় তুমি বনবাসী জঙ্গলে।
আমিও নই স্বর্গের দেশে,
একাকার আমি কাঁদা জলে মিশে।
নরম চাদরে আমি চাঁদহীন রাত্রি,
যাত্রাপথে তুচ্ছ নোংরা পথযাত্রি।
ঘোড়ে বেড়াই জগতের বুকে
হীরে-মুক্তার সন্ধানে,
বসন্ত বাতাসে স্নান করি আমি
তুমি হীনা কারনে।
মেঘের গায়ে আঁচড় কেটে
লিখে রেখেছি একখানা কথা,
কুয়াশা হয়ে অস্পষ্ট তুমি
আমার প্রাণে রাশি রাশি বেকুলতা।
প্রাণের তিষ্না মিটাতে আমি
সৃষ্টি করেছি মানব মূর্তি গৌরবে,
নেই তাতে তুমি হীনা প্রাণ
স্বাদহীন সৌরবে।
প্রেমের পথে পরিচয়ে আমি
জাহাজের নাবিক,
দিন-রাত্রির তারতম্যে
বলা হয় আমাকে সর্বহারা প্রেমিক।
বুকের ভেতর মহা আটলান্টিকে
ডুবন্ত আমার জাহাজ,
আমিও ডুবন্ত নাবিক,
হিমেল হাওয়াতে খোঁজি তোমাকে
জলস্রোতের চারিদিক।
গলা জলে প্রাণ আমার যায় যায়
খানিক্ষন পর হবে অক্সিজেনের অভাব,
প্রাণপাখি চলে যাবে পঙ্কিরাজের কাছে
জানিয়ে দেবে বিসর্জনের ভাব।
তখন হয়ত তুমি আমায় খোঁজবে
কিন্তু পাবে না কখনো খোঁজে,
সন্দেহ হয় আমার,
পাথর ফেটে তখন কি সত্যি
ঝর্ণা বইবে তোমার শকুন চোখে?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন