বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০১৪

তোমার আমার লুকোচুরি

আমি খোঁজেছি তোমাকে সূর্যালোকের তীরে,
কেঁদেছি অনন্তকাল অজস্র বালুকণার ভীড়ে।
সেই তুমি আজ কোথায়, আর আমিই বা কোথায়,
তবুও পঙ্কিরাজ উড়ে বেড়ায় স্বপ্নডাঙ্গায়।
হাজারো কথার মধ্য একটি কথা 
বার বার শ্মরণ পড়ে
চেতনাহীন চেতনায় তুমি বনবাসী জঙ্গলে।
আমিও নই স্বর্গের দেশে,
একাকার আমি কাঁদা জলে মিশে।
নরম চাদরে আমি চাঁদহীন রাত্রি,
যাত্রাপথে তুচ্ছ নোংরা পথযাত্রি।
ঘোড়ে বেড়াই জগতের বুকে
হীরে-মুক্তার সন্ধানে,
বসন্ত বাতাসে স্নান করি আমি
তুমি হীনা কারনে।
মেঘের গায়ে আঁচড় কেটে 
লিখে রেখেছি একখানা কথা,
কুয়াশা হয়ে অস্পষ্ট তুমি 
আমার প্রাণে রাশি রাশি বেকুলতা।
প্রাণের তিষ্না মিটাতে আমি
সৃষ্টি করেছি মানব মূর্তি গৌরবে,
নেই তাতে তুমি হীনা প্রাণ 
স্বাদহীন সৌরবে।
প্রেমের পথে পরিচয়ে আমি 
জাহাজের নাবিক,
দিন-রাত্রির তারতম্যে 
বলা হয় আমাকে সর্বহারা প্রেমিক।
বুকের ভেতর মহা আটলান্টিকে 
ডুবন্ত আমার জাহাজ, 
আমিও ডুবন্ত নাবিক,
হিমেল হাওয়াতে খোঁজি তোমাকে
জলস্রোতের চারিদিক।
গলা জলে প্রাণ আমার যায় যায়
খানিক্ষন পর হবে অক্সিজেনের অভাব,
প্রাণপাখি চলে যাবে পঙ্কিরাজের কাছে
জানিয়ে দেবে বিসর্জনের ভাব।
তখন হয়ত তুমি আমায় খোঁজবে
কিন্তু পাবে না কখনো খোঁজে,
সন্দেহ হয় আমার, 
পাথর ফেটে তখন কি সত্যি 
ঝর্ণা বইবে তোমার শকুন চোখে?


ইচ্ছে হয়


ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে লিখে ফেলি কাব্য,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে হয়ে যাই অসভ্য।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে হারিয়ে যাই দূরে,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে বিষপানে যাই মরে।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে চাঁদের পাহাড়ে যাই,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে আফিম-সিগারেট খাই।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে করি ছিন্ন আত্মীয়তার বন্ধন,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে দেই ভাসিয়ে ক্রন্দন।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে করি কিছু ভুল,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে রাগে ছিঁড়ি কারো চুল।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে করি লীলাখেলা,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে অলস কাটাই বেলা।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে খোলি কারো শাড়ী,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে মন্দ কাজ করি।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে করি একটা খুন,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে ভেঙ্গে ফেলি সকল নিয়ম-কানুন।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে রং-তুলি নিয়ে বসি,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে অন্যের দুঃখে হাসি।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে মন-মন্দীরে আসুক দেবি প্রতিমা,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে তাকে ডাকি প্রিয়তমা।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে দেখি খারাপ কিছু,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে না ফিরে তাকাই পিছু।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে ভুলে যাই ধর্ম,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে নিষিদ্ধ করি কর্ম।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে যাই বনবাসে,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে বিনাশ হই সর্বনাশে।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে পান করি মদ,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে ডাকি নিজের বিপদ।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে সাজাই নিজের স্বর্গ,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে করি অনর্থক গর্ব।
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে উল্টে যাক জীবন,
ইচ্ছে হয় মাঝে মধ্যে গড়ি স্বীয় কবিতায় ভুবন।

অনুরোধ


প্রিয়, যখন আমি চলে যাবো
না ফেরার দেশে
তখন আমার কবিতাগুলোকে
তুমি তোমার করে নিও,
তোমার হৃদয়ের মনিকোঠায়
লুকিয়ে রেখে দিও।
রেখে দিও আদরে,
অনেক যতনে,
এই ভেবে রেখে দিও
যেন আমি আছি গোপনে।
ভেবে নিও আমি ঘুমন্ত
আমার কবিতায়,
আমি ভেবে পরশ বুলিয়ো
ভালবেসে উষ্ণতায়।
ভেবে নিও, আমি বেঁচে আছি
বুকে তুলে নিও আমায়,
লুকিয়ে রেখে দিও কবিতাগুলোকে
হৃদয়ের মনিকোঠায়।
প্রতিদিন নয়, অন্তত একবার
আমায় দেখে নিও,
মাঝে মধ্যে কবিতাগুলোকে
আদর করে দিও।
আমি ভেবে কবিতাগুলোকে
বুকে ঘুমাতে দিও,
ভালবেসে কপালে
একটু হাত বুলিয়ো।
"কোথায় আছি" এই বলে 
কবিতাকে জিজ্ঞেস করে নিও,
আমি হয়ে বলবে কবিতা
"ভালবেসে আমায় বুকে রেখে দিও।"

বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০১৪

মন আকাশ নয়, মন আগ্নেয়গিরি

মহাপুরুষেরা বলেছেন, মন আকাশের মত বিশাল
আকাশের মত মনেরও নেই সমাপ্তি,
মনের উঠান সীমাহীন, উদারতায় ভরপুর,
বিলিয়ে দেয় সবকিছু যতই না থাকো দূর।

আমি বলি, শুনো মহাপুরুষের দল,
মনের উঠানে কেউ করে না চলাচল।
উঠান অনেক ক্ষুদ্র, সীমিত হবে প্রায়,
যে চলে উঠান ছেড়ে সে ফের না পিছু চায়।

আর আকাশ, মানলাম আকাশ বিশাল
তাই বলে মন নয় আকাশ, মন আগ্নেয়গিরি,
বিরাট পাহাড়ের গায়ে দাড় করা কষ্টের খাড়া সিঁড়ি।
কষ্টের তাপে, উদারতার চাপে, জ্বলে নিজের ভেতর নিজে,
যে যায় ভেতর ছেড়ে সে ফের আসেনা প্রিয় কাজে।

জানি, কেউ মানবেনা আমার কথা
সবাই বলবে মন হল আকাশ,
আমি শুধু একাই মনকে বলবো আগ্নেয়গিরি,
যাই হোক, তোদের মনের খরব আমি জানি না,
হতে পারে তোদের মন আকাশ
তবে আমার নয়, আমার মন আগ্নেয়গিরি,
নিজের ভেতর নিজে জ্বলেছে অনেক
এখন পাহাড়ের গায়ে ছড়িয়ে দিয়েছে কষ্টের লাল লাভা,
জ্বলে-পুঁড়ে ছাই উদারতার যত ছিল নীল আভা।

তেমন যদি না হত,
তাহলে আমিও মহাপুরুষের সাথে সুর মিলাতাম,
আমিও বলতাম, মন আকাশের মত বিশাল
আকাশের মত মনেরও নেই সমাপ্তি
মনের উঠান সীমাহীন, উদারতায় ভরপুর,
বিলিয়ে দেয় সবকিছু যতই না থাকো দূর।

স্বপ্ন তৈরির কারখানা

স্বপ্ন তৈরির কারখানায় তৈরি হয় বিভিন্ন রঙ্গের স্বপ্ন
লাল স্বপ্ন, নীল স্বপ্ন, গাঢ় সবুজ রঙ্গের স্বপ্ন,
রংধনুর সাত রং মাখানো স্বপ্নও করা হয় তৈরি,
সেসব স্বপ্ন তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ভিন্ন স্বাদের উপাদান।
যেমন- একটু আশা, এক বুক ভালবাসা।
এক ঝর্ণা ব্যথা, চোখের কিছু জল,
পুরোনো কিছু স্মৃতি; অপরিবর্তনীয়-অবিকল।
বতর্মানের খেলা, ভবিষ্যৎ নিয়ে চলা।
কিছুটা আবেগ, কষ্ট সাজানো মেঘ।
হাল্কা কিছু হাসি-কান্না,
নোনতা জলের পাতিলে করা হয় রান্না।
তারপর করা হয় পরিবেশন
কাজল কালো ভ্রমরের ডানায় সাজানো হয় স্বপ্ন,
ভ্রমর উড়ে বেড়ায় আমাদের জগৎ ঘিরে,
রঙ্গ-বেরঙ্গের স্বপ্ন দেখায় আমাদেরকে হাতে ধরে।
দেখা সব স্বপ্ন হয়না কিন্তু সত্যি
কিছু স্বপ্ন জন্ম নেয়ার আগেই হয় তাদের মৃত্যু
কালো ভ্রমরের ডানা তখন ভেঙ্গে যায়,
প্রতিবন্ধীর মতন পরে থাকে 
মনের কোন এক কোণায়।
কালো আন্ধারে কালো ভ্রমর
একসময় ত্যাগ করে প্রাণ শেষ নিশ্বাসে,
তবুও স্বপ্ন দেখা হয়না কখনো বাতিল
স্বপ্ন তৈরির কারখানা অনবরত স্বপ্ন তৈরি করে
তাদেরও স্বপ্ন- একদিন না হয় একদিন
তৈরি স্বপ্ন সত্যি হবে, শুধু এই বিশ্বাসে।

কখনো যদি

কখনো যদি শুনতে ইচ্ছে হয় আমার কথা
যদি দেখতে চাও আমায়,
চলে তখন এসো ফিরে
কষ্ট নদীর কিনারায়।
যেখানে যে নদীর তীরে 
জ্বলে আমার চিতা,
যেখানে করেছিলে চলনা
সাজিয়ে নিজেকে অভিনয়ে মাধুবীলতা।

কখনো যদি শুনতে ইচ্ছে হয় আমার কথা
যদি দেখতে চাও আমায়,
চলে তখন এসো ফিরে
কষ্ট নদীর কিনারায়।
যেখানে যে নদীর জলে 
সাঁতার কাঁটে আমার অন্তর আত্মা, 
যেখানে তোমার নাম জঁপে
আমার বিক্ষত হৃদয়ের প্রতিটি শিরা।

কখনো যদি শুনতে ইচ্ছে হয় আমার কথা
যদি দেখতে চাও আমায়,
চলে তখন এসো ফিরে
কষ্ট নদীর কিনারায়।
যেখানে যে নদী প্রবাহিত
আমার মুক্ত চোখে,
পায়ে ধরি তোদের কেউ
আমার অশ্রু যেন না রুখে।


Always miss her

অংক কষা

অংক আমি করতে পারি না
অংকে ভীষণ কাঁচা,
অংক হতে মুক্তি দিয়ে
আমায় কেউ বাঁচা।

পিতার বয়স এতো হলে
পূত্রের বয়স কত,
এই অংকে বল কেন
ঝামেলা শত শত।

এ স্কোয়ার আর বি স্কোয়ার
যেন দুই ভাই,
অংক বই নিয়ে বসলে
স্যারের বকা খাই।

পাটিগণিতে-বীজগণিতে
কঠিন যত সুত্র,
জ্যামিতিতে আরো কঠিন
ত্রিকনোমিতির মন্ত্র।

তন্ত্র-মন্ত্রের মায়া জালে
গড়া সুদের অংক,
চক্রবৃদ্ধির হারে কত
বার্ষিক জমার লক্ষ্য।

প্যাজেন্ট ভ্যালূ এতো হলে
ফিউচাড় ভ্যালূ কত,
তার চেয়ে আরো কঠিন
ম্যাট্রিক্সের গুণেরা যত।

কত-শত অংক নিয়ে
বাঁধা এই জীবন,
কসাই অংক হয়না কেন
সহজে তোর মরণ।


সুন্দরী

(আমার আঁকা ছবি)

"সুন্দরী"

আবার কোন এক উৎসবে
পেলাম কোন এক সুন্দরীর দেখা,
তার চোখে কালো ভ্রুতে
বিস্মিত বলিরেখা।
ঠোঁটে নদীর মতন
মৃদু শীতল হাসি,
চুলের কোঁপায় আঁচড়ানো চুলে
রাখালিয়া বাজায় বাঁশি।
কমল কচি হাতে
ঝনঝন চুড়ির আওয়াজ,
কপালের মধ্যস্থলে
সূর্যের ন্যায় উদিত টিপের সাজ।
শাড়ীর আঁচলে ছিল বাঁধা
আসাধারণ রুপের খেলা,
নাগিনীর মত ছিল বিষাক্ত
কোমর দোলিয়ে চলা।
ক্লান্ত শিউলি ফুলের মতন
উজ্জল মুখখানি,
সপ্তসুরে ভেসে গেল
চোখেরো চাওনি।
তার চোখে চোখ রেখে
আমি পারিনি দাঁড়াতে,
সে ছিল অনেক ব্যস্ত
উড়ন্ত বাদলের দিশাতে।


একটু খানি হাসি

হাসতে ভালবাসি আমারা সবাই
পৃথিবীতে এমন মানুষ নেই 
যে হাসতে চায় না,
ইচ্ছে থাকুক আর না-ই থাকুক
হাসতে তোমাকে হবেই । 

তবে সব হাসি সমান নয়
রয়েছে হাসির মাঝেও ভিন্নতা,
কেউ হাসে সুখেতে, 
কেউ হাসে দূঃখতে । 

কিন্তু একটু খানি হাসি পারে অনেক কিছু
পারে জীবনকে জীবন্ত করে তুলতে,
জীবনকে রঙ্গিন করতে ।

হাসি যেন তাই এক মূল্যবান সম্পদ,
মায়ের কাছে সন্তানের একটু খানি  হাসি
অগনিত পরিমাণ স্বর্ন হতে দামী ,
পিতার মুখে একটু খানি হাসি 
ফুটাতে পারলে যেন সার্থক সন্তানের জীবন । 

প্রেমিকের কাছে প্রেমিকার মায়াবী মুখের
একটু খানি হাসি স্বর্গ সমতুল্য,
ভাইয়ের কাছে বোনের, বোনের কাছে ভাইয়ের
একটু খানি হাসি সবই সুখের একটি অঙ্গ । 

রাস্তার ফুঁটপাতে বসবাসরত 
মানুষের মুখেও ফুটে একটু খানি হাসি
যখন সে পায় সামান্য কিছু অন্ন । 

অভাব-অনটন, কষ্ট, ব্যর্থতাকে তোয়াক্কা না করে
যখন ফুটে ঠোঁটের কোণায় একটু খানি হাসি
বলব তখন সেই হাসি সব হাসি থেকে ভিন্ন । 

বৃষ্টির দিনে ঝড়ের সময়
ভাঙ্গা ছনের ঘরের ভিতর
প্রবেশ করে যখন বৃষ্টির পানি,
তখনো দরিদ্র কৃষকের স্ত্রীর মুখে 
ফোটে একটু খানি হাসি, 
সেই হাসি হল ভিন্ন,
কষ্টকর একটি হাসি । 

আসলে মানুষ হয়ে সবাই জন্মেছিতো
তাই হাসতে আমাদের হবেই,
জীবন হোক সুখের অথবা দূঃখের
একটু খানি যেন অনেক কিছু ।

আমি যা দেখেছি

আমি আমার অন্ধকার দেখেছি 
তোমার চোখের জলন্ত আগুনে,
আমি আমার নিরবতা দেখেছি 
তোমার কন্ঠের উচ্চ স্বরে,
আমি আমার কান্না দেখেছি 
তোমার হৃদয়ের চৌচিরতায়,
আমি আমার হাসি দেখেছি
তোমার বাঁকা ঠোটের কমলতায়,
আমি আমার সুখ দেখেছি 
তোমার কথার ফাঁকে,
আমি আমার কষ্ট দেখেছি 
তোমার স্মৃতি অংকিত বুকে.

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০১৪

একাকীত্ব

একাকীত্ব আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু
আমি যেখানে যাই,
সেখানেই একাকীত্বকে খোঁজে পাই।
আমার সর্বস্তজুড়ে একাকীত্বের বস-বাস,
একাকীত্বের সাথে আমার রচিত 
প্রতিদিনের ইতিহাস।
চোখের পাতা খোলা থাকুক,
আর না-ই বা থাকুক
একাকীত্ব আমার সম্মুক।
রাত্রি হলে যেভাবে
নিলান্তর কালো হয়ে নামে অন্ধকার,
তেমনি আমার জগতে একাকীত্বের সমাহার।
এই ধারায় সময় চলে যায় 
একাকীত্বের হাতে,
একা চলে যায় আমার সময় 
একলা একটি হিমালয়ের পথে।
সে হিমালয়ের নাম একাকীত্ব
যাকে আদর করে আমি বন্ধু বলে ডাকি।


নতুন দিনের নতুন সূর্য

আকাশের বুক ছির করে
বেড়িয়ে আসলো অগ্নিময় উত্তাল সূর্য,
তার আলোয় আলোকিত 
পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর এবং দক্ষিণ,
রজনীর তিমির অন্ধকারকে তাড়িয়ে 
অর্জন করলো বীরত্ব খেতাপ,
তার তাপে পূর্ব আকাশে 
জাগলো আশার আলো
ধরণীর কুলকে কাঁপালো তাহার তাপ.
কোলাহলপূর্ণ শহরগুলো 
ব্যস্ত কর্মব্যস্ততায়,
সূর্যের আলো পরশ বুলালো 
পথে-প্রান্তরে এবং রাস্তায়.

অহংকার

সেই দিন রাতে আয়নার সামনে আমি দাঁড়ালাম,
কিন্তু আয়নায় আমি আমাকে দেখিনি
আমি দেখেছি অন্য এক মানুষ।
বড্ড বিশ্রি ছিল সে দেখতে
বিশ্রি ছিল তার গায়ের রং
বিশাল ছিল রক্ত চোষকের মতন দাঁত
মাথায় হিংস্র দুটি শিং
আগুনের ফোল্কার মতন চোখ
দেখতে লাগছিল অনেক ভয়ংকর।
কে সে? সে তো আমি নই
সে নয় আমার মতন,
সে নয় আমার প্রতিচ্ছবি।
ভয় জাগলো আমার মনে
কে ছিল সে?
ভয়ে ভয়ে তাকে জিগ্গেস করলাম
কী নাম তোমার, 
কী তোমার পরিচয়?
সে উত্তর দিল,
বলল, আমার নাম অহংকার,
আমি বাস করি তোমার মনে,
আর আমার পরিচয় তোমার চাল-চলনে।