মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

চাঁদের আলো

শীতল বাতাসে মুক্ত আকাশে চাঁদের আলোয় এসেছে জোছনা,
রাত্রির শেষাংশে যেন শুরু অন্য এক নতুন সূচনা।

সে নতুনত্ব নিয়ে খোলা বাতায়নে দৃষ্টি যায় আমার,
এবং গগন পানে দেখেছি আমি রাত্রির উজ্জ্বল তারকা হাজার।

সেই সাথে কর্ণপাত করেছি আমি জোনাকির ঝিনঝিন কলরব,
কিন্তু চাঁদের একাকী সৌন্দর্যের সম্মুকে তুচ্ছ এই সব।

তাই সেই নগ্ন চাঁদের রূপে আমার চুক্ষ হয়েছে আলোকিত,
হৃদয়ের সর্বস্তে চাঁদের আলোকরশ্মি নির্বাচিত।

সে আলোর আলোকিত হয়েছে আমার মনের বাতায়ন,
সেখানে শুধু ভ্রমণ করে মিষ্টি চাঁদের মিষ্টি আলোরন।

সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অনুভূতি-১

আমার আজ ভিষন মন খারাপ
নেই এখন আমার মন ভাল করার ঔষধ।

পূর্বে মন খারাপ হলে ছুটে চলে যেতাম  তারই কাছে
কিন্তু আজ সে নেই, তাই সব আজ ভিন্ন হয়েছে ভিন্ন সাজে।

আজ মনের গহীনে এখন তাই আগুন জ্বলন্ত,
নিদ্রাহীন আমার চোখ আজ সজাগ
সে নয় আজ ঘুমন্ত।

তাই হয়ত চোখে আজ আমার জমেছে অশ্রু,
কিন্তু আমি আজ কাঁদবো কেন, আমি তো কেঁদেছি অনেক
তবে আজ নয়, আমি কেঁদেছি গত কাল, গত পরশু।

আসলে দোষ আমার নয়, দোষ মনের আর চোখের
মন আমার আজ মানে না আমার কথা,
চোখ যে আজ বুঝেনা মনের ব্যথা।

শুধু পাথর আমার বক্ষে সৃষ্টি হয়েছে একটি ফাটল
আর সেই ফাটোলে দেখা দিয়েছে কঠোরতার ঝর্না,
কিন্তু আমি কঠোর হয়ে পারবো না ভুলতে তোমায়
কারন তুমি হলে অতুলনীয় সেই রাজকন্যা।

জানি এইসব বলে আজ লাভ নেই
কারন এইসব কথা আর এইসব কথার কতক আমি আজ তুচ্ছ,
কিন্তু তুমি ভয় পেওনা, তুমি নউ আমার কাছে তুচ্ছ,
তুমি আজো আমার কাছে সেই ফুটন্ত জীবন্ত
সুগন্ধে সুবাসিত লাল গোলাপ এক গুচ্ছ।

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অলসতা

নেই কোন কাজ
ভাসিয়েছি অলসতার জাহাজ,
বন্ধী এখন সেই জাহাজের চার দেয়ালে
আটক হয়েছি অলসতার মায়া জালে।

এই জাহাজ পানিতে ভাস্য নয়
জাহাজ ভাস্য বেকারত্বের অভিশাপে,
অলসতা তাই করছে গ্রাস ধীরে ধীরে পরিমাপে।

সময় যাচ্ছে চলে, আর আমি ঘুমে ব্যস্ত
নিজেকে গড়ার সময় নেই আমার,
আমি হলাম অলসতায় অভ্যস্ত।

আজ না, করবো কাল, কাল না করবো পরশু
করবো করবো করে হয় না করা কোন দিন
এই না করাটাই হল অলসতার পরিচয়,
বেকারত্বের কোন দোষ নেই, দোষ হল আমাদের
আমরা অলসতায় কাটাই সমগ্র সময়।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ৭

স্বপ্নকন্যার জন্য মনেতে সাজিয়ে রেখেছি ভালবাসার ভেলা
একদিন বসবে সেইখানেতে প্রেমের হাটের মেলা,
আদরে আদরে পূর্ণ হবে উত্তপ্ত দেহ
উরুদেশে লাগবে তখন ভালবাসায় স্নেহ,
শান্ত থাকবেনা তখন অশান্ত দুটি শরীল
যৌবনরসে পূর্ণ  হবে ভালবাসার পাতিল,
মৃদু সুরে কথা হবে, সেই সাথে হবে আনন্দদায়ক ব্যথা
ভেঙ্গে যাবে প্রধান ফটকের প্রবেশ রোধক ছাতা,
অবশেষে দুটি দেহ ছিন্ন হবে, শুধু থাকবে হাতের উপর হাত
এইভাবে কাটবে প্রতিটি আমাদের প্রেমে আচ্ছন্ন রাত।

বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আকাশের বুকে মেঘ

আকাশের বিশালতায় এসেছে কালো মেঘ
বিন্দুমাত্র আনেনি সে মনেতে তার আবেগ,
কিন্তু সে জানতো, আকাশের চোখে ছিল তার ছায়া
পুরনো সেই বুকে হারানো সেই মায়া,
মেঘের জন্য ছিল প্রস্তুত আকাশের নিত্য-নতুন উপহার
অসমাপ্ত ছিল তাদের গল্পের উপসংহার,
আকাশের শান্ত মন আর অশান্ত ছিল মেঘের ছোঁয়া
যার ছোঁয়াতে সেজেছিল বুকে অল্প কিছু চাওয়া,
কিন্তু আকাশ ব্যর্থ, সে পারেনি বুঝতে মেঘের পিছনে ছিল ঝর
সে ঝড়ের আঘাতে আকাশের বুকে মেঘ হয়েছে তার পর।

মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বৃষ্টি

আকাশ কাঁদছে, আকাশের চোখে হচ্ছে বৃষ্টি
পূর্ব আকাশে মেঘের ঘর্ষণে বজ্রপাতের সৃষ্টি,
মুষলধারে ঝরছে বৃষ্টি, নেই থামার কোন নীতি
বৃষ্টি ভেজা প্রতিটি সময়ে অশান্ত পরিণতি,
বিকট শব্দে বজ্রপাতের আলোয় আলোকিত
বিদ্যুৎ চমকালেই ভয়ের সঙ্গে হতে হয় পরিচিত,
কিন্তু বৃষ্টির ঝনঝন ধ্বনিতে জেগে উঠে প্রাণ
অজানা শিহরণের উদাসী মন সর্বস্তরে নয় সমান,
তারপরও ভালো লাগে বৃষ্টি ভেজা প্রতিটি মূহুর্ত
এ যেন একটি উপহার বিধাতা কর্তৃক প্রদত্ত।

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

অশ্রু জল

অশ্রু জলে হাবুডুবু হৃদয়ের দুই প্রান্তর
চোখের কোণায় বৃষ্টির ফোঁটায় নিষ্ঠুর এক অন্তর,
মায়াজালে বন্ধী প্রেমে ক্ষুদ্র এক অংশ
অশ্রু জলে সৃষ্ট নদীতে নিষ্ঠুরতার বংশ,
আধা মরা অশ্রু জলে পাথর আকৃতির বক্ষ
মনের ঘরে হাহাকার খালি তাহার কক্ষ,
কষ্ট নেই অশ্রু জলে, নেই কোন ব্যথা
যায় না বলা অশ্রু জলে নিষ্ঠুরতার কথা,
অশ্রু জল সইতে না পেরে ক্লান্ত কঠোর মন
চোখের তলে অশ্রু জলে শুষ্ক আবরণ।

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

আমি-২

সময়ের পরিবর্তনে হয়েছি আমি বন্ধী
মন-মানসিকতায় হয়েছে যুক্ত নিত্য নতুন সন্ধি,
এখন আর নেই ভাবনা জুড়ে পুরনো কোন ছন্দ
মনের চোখে পরেছে ছানি অদ্ভুতভাবে অন্ধ,
কথা-বার্তায় হলাম এখন বাক্যহীন বালক
গম্ভীরতায় হয়েছি গম্ভীর ধ্রুবকহীন চলক,
মনের ভূমি উদার নয়, ক্ষুদ্র তুলনায়
ভাবমূর্তি গম্ভীর যেন ব্যস্ত চলনায়,
সহজ কাজে ব্যস্ত নই, ব্যস্ত কীসের জন্য
পশু তো নই তবুও কেন আচরণে বন্য ?

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

প্রিয় মানুষ

পরিচিত-অপরিচিত মানুষের ভিড়ে প্রিয় কিছু মানুষ
চাইলেই যায় না সেই প্রিয় মানুষদেরকে ভুলা
ইচ্ছা থাকলেই হয়না তাদের হাতে  ধরে চলা,
তারা যেন আকাশের ঐ চাঁদ
হাত বাড়ালেই যায় না রাখা তাদের হাতে হাত।

সেইসব প্রিয় মানুষদের সঙ্গে জুড়ে  রয়েছে আনন্দময় সৃতি,
সাথে হাসি-কান্না, প্রেম-ভালবাসা,
তাই স্বরনীয় হয়ে রয় তাদের সঙ্গে কাটানো
মিষ্টি মিলামিশা।

এই জীবনে সেই প্রিয় মানুষদের অনেক প্রয়োজন
তাদের এখন কাছে পেতে চাই তাই করি আয়োজন।

সব আয়োজন কিন্তু সমান নয়
কিছু আয়োজনে সৃষ্টি হয় ভুল বুঝা-বুঝি,
জীবনটা তখনই হয়ে যায় শূন্য নৌকা,
যার মধ্যে নেই কোন মাঝি।

বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ছোট কবিতা

তুমি আমার প্রথম সকাল
ক্লান্তিহীন একটি বিকাল,
বৃষ্টি ভেজা শান্ত দুপুর
গ্রাম্য মেয়ে নেমেছে পুকুর,
দিনের শেষে তুমি সন্ধ্যা
এক গুচ্ছ ফুল রজনী গন্ধা, 
চাঁদের আলোয় আসবে রাত
ঘুমের দেশে যাতায়াত।

মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

দূরে

দূর হতে দূরে, গিয়ে বহুদূরে
রয়েছ কাছে আগে অথবা পরে
মনের মাঝে, সীমান্তের পাড়ে,
বহুদূরে আপন হয়ে
সৃতি হয়ে, দূরত্ব নিয়ে
রয়েছ কাছে দূর হয়ে।

অনেক দূর, অচেনা সুর
নেই জোড় গায়ে মোর,
আর কত দূর, করেছি ভূল
অপ্রিয় ফুল দূরত্বের কুল।

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

ফেইজবুক

ছোট-বড় মিলে সবাই খোলেছে ফেইজবুক
মোবাইল-পিছিতে রয়েছে তাকানো বিশাল বিশাল চোখ।
সাদা, নীলের মিশ্রণ নিয়ে ফেইজবুকের পাতা
বারোমাস ফেবু হল ইউজারের ছাতা।
হোম মানে বাড়ি নয়, স্ট্যাটাসের বন্যা
সার্চ বক্সে খুঁজি সবাই রুপসী যত কন্যা।
পোক মানে পোকা নয় এটা হল খোঁচা
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট রিজেক্ট করলে মেয়ে তুমি পচাঁ।
ছেলে তুমিও কম নও, ইজরা সাজো সখে
ফেইক আইডি খোল তুমি কালি মুকে মেখে।
ইনবক্সে হয় কথা ভাবের বিনিময়
কয়জনে দেয় সাহস করে আসল পরিচয়।
অনলাইনে হয় কথা, ইংলিশে চ্যাট
কয়জন জানে বাংলা অর্থ, শব্দ 'ইন্টারনেট'।
হাজার হাজার ফ্যান পেইজ বিশাল সকল গ্রুপ
এই মেয়ে তুই ফেইক, দে রিয়েল ফ্রুপ।

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মনের ঘর

মনে ছোট্ট একটি ঘর
সুন্দরভাবে সাজানো,
ঘরের সামনে ফুলের বাগান
মিষ্টি সুবাস মিশানো।

ঘরের প্রধান ফটক বিশাল বড়
অপরুপ কারুকাজ,
তাজমহল সমতুল্য এই ঘরে
মাথায় রয়েছে তাজ।

ঘরের রং সাদা না গোলাপি
আমি স্বয়ং জানি না,
কিন্তু রয়েছে আসা-যাওয়া
মুক্ত ঘরের আঙ্গিনা।

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বিদায় রাজকন্যা

আমার প্রিয় রাজকন্যাকে আমি জানিয়ে দিয়েছি বিদায়
রাজকন্যার সাথে দীর্ঘ সময় হবে না যোগাযোগ,
মনে রাখবো শুধু রাজকন্যাকে আমি
করবো না জীবন হতে বিয়োগ।

রাজকন্যা আমার প্রেমিকা
আমার জীবনের প্রথম প্রেম,
হৃদয়ের মনিকোঠায় সর্বদা থাকবে টাঙ্গানো
রাজকন্যাটির ছবির ফ্রেম।

মনে রেখো শুধু তুমি ওয়াদাটি আমার
যে কথা আমি বলেছি শেষ
কখনোই যাব না আমি তোমায় ভুলে,
থাকবে তুমি সব সময় রাজকন্যা হয়ে
আমার বুকের উপকূলে।

ভয় পেওনা তুমি,
নেই আমার আজ কোন দাবী
তুমি নউ এখন আমার হৃদয়ের চাবি,
হৃদয়ের তালা আজ বদলে গেছে
হৃদয়ের দরজা আজ বদলে গেছে
হৃদয়ে জুড়ে এখন পাথরের অস্তিত্ব
চলছে বেড়ে তোমার আমার দূরত্ব।

কিন্তু মনে রেখো তুমি একটি কথা তোমার ওই নিষ্পাপ বুকে
তুমি হলে রাজকন্যা, আমার কবিতার জননী
যার জন্য আজো জাগতে পারি অন্ধকারে রজনী।

ভয় পেওনা তুমি,
আমি আজ আর চাই না তোমার প্রেম
আমি আজ চাই শুধু তোমার একটু ছায়া
যে ছায়াটা হবে বন্ধুত্বের,
অন্য এক গুরুত্বের।

তুমি শুধু যেওনা আমায় ভূলে
আমি যে তোমার বন্ধুত্বের ভিক্ষুক
ফিরিয়ে দিওনা আমাকে তুমি খালি হাতে,
আমি শুধু হতে চাই বন্ধু তোমার বন্ধুত্বের পথে।
দিওনা আমাকে বিদায় তুমি চিরতরে,
আমি আসবো একদিন তোমার কাছে
হয়ত তখন দাঁড়িয়ে থাকবো বন্ধুত্ব নামক তীরে।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মাতাল

মাতালের নেশায় নেশাগ্রস্ত
সমস্ত এই প্রকৃতি,
সময়ে-অসময়ে হয়ে যায় মাতাল
আজব নেশাগ্রস্তের নীতি।

নেশাগ্রস্তের গোলা চোখ মালাত
অস্পষ্ট নেশায় দৃষ্টি,
মাতাল অনুভবে মাতলো ধরণী
নেশা কি সুন্দর সৃষ্টি।

এই নেশার কারন নয়
মদ, আফিম  কিংবা ফেন্সিডিল,
মাতাল হওয়ার এই নেশার সাথে নেই
উপরোক্ত জীবন নাশকের মিল।

এই নেশা তাহলে কীসের নেশা
অজানা আমার উত্তর,
মাতাল হয়েছি সেজন্য তাই
প্রশ্ন কঠিন হতে কঠিনতর।

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সিগারেট

আমাদের জীবন একটি সিগারেটের মতন
এক অংশে জ্বলে তাতে আগুন
সেই সাথে বাষ্পীভূত হয় ধোঁয়া,
ধীরে ধীরে হয়ে যায় শেষ
পূর্বের সকল চাওয়া-পাওয়া।

তবে জীবনের ক্ষেতে আগুন হল কষ্ট
কষ্ট বেশি নয় সামান্যই যথেষ্ট,
পুড়ে যায় তাতে সবকিছু
শেষ হয়ে যায় যা রয়েছে পিছু।

বদলে যায় এতে জীবন
মন-মানসিকতায় আসে নতুন স্বাদ
ভিন্ন হয়ে যায় জীবনের সমীকরণ
ধারণ করে জীবন অন্য আবরণ।

আর চোখের সামান্য কিছু অশ্রু
এবং বুকে এক দীর্ঘশ্বাস,
এই হল জীবনের ধোঁয়া
এতেই জীবনের হ্রাস।

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

সৃতির খাতা

সৃতি নামক খাতার আজ সব পৃষ্ঠা সাদা
মুছে গেছে খাতায় যা ছিল লেখা
মিটে গেছে যে ছবি ছিল আঁকা,
খাতায় নেই কোন সৃতি
নেই প্রেম-ভালবাসা-প্রীতি ,
এখন আর গায় না সৃতিগুলা বেদনার গান
অচেতন আজ আবেগের টান,
চোখের কয়েক ফোটা অশ্রু আজ আর পরে না ঝরে
কষ্ট হয় ভাবতে ভালবাসা কী গেল মরে,
না, সে তো অমর, নেই তার মৃত্যু
কিন্তু কেন এমন হল,
কেন হল সৃতি নামক খাতায় পরিবর্তন,
কী করে হল অদ্ভুত এই কর্তন ?