বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৩

লক্ষ্যহীন বালক

ঘন জঙ্গল
সেই সাথে অন্ধকার,
এই পথে চলছি আমি
সময় রাতের আধাঁর।

উঁচু-নিচু সেই পথ, নয় সমতল
বিশাল সব পাহাড়,
ভয়ঙ্কর অনুভূতি
ভয়ের বইছে জোয়ার।

নেই পথে নিরাপদ স্থান
যেখানে নেব আশ্রয়,
চারপাশে শুধুই বিপদ
প্রতিকূলতার প্রশ্রয়।

পায়ের নিচে মাটি নেই
পায়ের নিচে বিরাট একটি পাথর,
যার উপর রয়েছি আমি
লক্ষ্যের নেই কদর।

মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৩

প্রেমিক-প্রেমিকা

প্রেমিক-প্রেমিকা বসে রয়েছে
মুক্ত পুকুর ঘাটে,
হয়েছে আজ তাদের মিলন
শান্ত প্রেমের হাটে ।

প্রেমিকের চোখে প্রেমিকার চোখ
হাতে তাদের হাত,
প্রেমের সূর্য উঠছে তাদের
রাত্রি শেষ প্রভাত।

তাদের মধ্যে হচ্ছে কথা
মধু হতে প্রেম মিষ্টি,
প্রেমিক-প্রেমিকার হয়েছে পূর্ণ
তাজমহলের সৃষ্টি।

তাজমহলটি তাদের যেন
নিষ্পাপ প্রেমের প্রতীক,
প্রেমিকার কাছে সবচেয়ে প্রিয়
তারই পাগল প্রেমিক।

অন্যদিকে প্রেমিকার লাজুক হাসি
প্রেমিকের জন্য সুখ,
ভাল লাগে সব প্রেমিকের
লাজ্জুক প্রেমিকার উজ্জ্বল হাসি মুখ।

সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৩

ক্ষুদ্র

ক্ষুদ্র এক মানব আমি
ক্ষুদ্র আমার সব,
ক্ষুদ্রতার মাঝে আমার
ক্ষুদ্র কলরব।

ক্ষুদ্র আমার চিন্তাধারা
ক্ষুদ্র আমার মন,
ক্ষুদ্রতার মাঝে আমার
ক্ষুদ্র বিসর্জন।

ক্ষুদ্র আমার মনের কথা
ক্ষুদ্র একটি আশা,
ক্ষুদ্রতার মাঝে আমার
ক্ষুদ্র মুখের ভাষা।

ক্ষুদ্র হল আমার জীবন
ক্ষুদ্র আমার কষ্ট,
ক্ষুদ্রতার মাঝে আমার
ক্ষুদ্র হয়েছে নষ্ট।

ক্ষুদ্র আমার চলার পথ
ক্ষুদ্র পথের গতি,
ক্ষুদ্রতার মাঝে আমার
ক্ষুদ্র কিছু সৃতি ।

ক্ষুদ্র সৃতি হতে লেখা
ক্ষুদ্র কবিতা,
ক্ষুদ্রতার মাঝে আমার
ক্ষুদ্র ভিন্নতা।

রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ৬

সময় হবে রাত, চারপাশে অন্ধকার
বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকব, স্বপ্নকন্যা এবং আমি
দেখব জোছনা রাতে চাঁদের আলো
আর গোনবো আমি আকাশে তারার সংখ্যা,
জানি পারবনা গোনতে
ব্যর্থ হবে গোনার আকাঙ্ক্ষা।

এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়
এইভাবে করে গোনবো
গোনে গোনে হব আমি ক্লান্ত
গোনা কিন্তু হবে না শেষ,
এক সময় চলে যাব, স্বপ্নকন্যা এবং আমি
হব দুজন নিরুদ্দেশ।

তখন হয়ত স্বপ্নকন্যা বলবে, ছিল সেটা পাগলামি
কখনো গোনা হবেনা শেষ
তবুও গোনার চেষ্টা,
জানি গোনতে পারবে না তুমি
কিন্তু করেছি তোমায় নিষ্ঠা (বিশ্বাস) ।

তাই শোনে বলব আমি
স্বপ্নকন্যা শোন,
জানতাম আমি পারবনা
করেছি তারপরেও সাহস,
কখনো যাবে না ভেঙ্গে সহজে
তোমার বিশ্বাসের মাটির কলস।

শুক্রবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৩

শূন্যতা

শূন্য আজ সবকিছু
হয়েছে শূন্যতা,
নেই আজ ভিতরে
একটু পূর্ণতা।

খালি লাগে সবকিছু
যেন শূন্যস্থান,
কিছু একটা করেছে মনে
ভিতর হতে প্রস্থান।

একা একা কাঁটাছে সময়
দীর্ঘ একটা প্রহর,
ব্যস্তার মাঝে ব্যস্ত নয়
শূন্যতার ব্যস্ত শহর।

চারপাশে নেই নেই
অর্থনীতির ভাষায় অভাব,
শূন্যতায় হয়েছে সৃষ্টি 
বিরাট তাহার প্রভাব।

বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ৫

দিবা নিশি স্বপ্নের দেশে
আমি করি ভ্রমণ,
স্বপ্নকন্যাকে খোঁজি আমি
করবো বলে গ্রহণ।

পাই না কিন্তু আমি আমার
স্বপ্নকন্যার দেখা,
স্বপ্ন দেশের কোথায় তুমি
রয়েছ বলো একা।

স্বপ্নকন্যা কোথায় তুমি
কোথায় তোমার ঘর,
কী করে কাঁটাও তুমি
তোমার অবসর।

তুমিও কী স্বপ্ন দেখো
দিবা নিশি জেগে,
খোঁজো নাকি আমাকে তুমি
রাগ অভিমানে রেগে।

আমি করি আমার মত
হাজারো কল্পনা,
তুমি সাজাও তোমার মত
স্বপ্নেরি আঙ্গিনা।

দুজন আমরা প্রতিনিহিত
স্বপ্ন দেশে যাই,
খোঁজি দুজনে দুজনকে আমরা
তবুও দেখা না পাই।

মনের মধ্যে আঁকি শুধু
একে অন্যের ছবি
জানি না কবে স্বপ্ন আমাদের
তুই সত্যি হবি।

বুধবার, ২১ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ৪

রুপ লাবন্যে পরিপূর্ণ  স্বপ্নকন্যা
আয়নার সামনে বসে সাজবে,
কাশফুলের মতন চুল গুলোকে
চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবে।

লাল বা অন্য কোন রং দিয়ে
রাঙ্গায়িত হবে তার নরম দুটি ঠোঁট,
সুন্দরী স্বপ্নকন্যা ধারণ করবে
সুন্দর্যের আকর্ষণীয় মুকুট।

শরীল হতে স্বপ্নকন্যার ভেসে আসবে
তাজা যৌবনের ফুটন্ত সুভাষ,
ফুলের সৌরভে সমুদ্রের ডেউয়ের মতন 
কেপেঁ উঠবে উত্তপ্ত বাতাস।
 
স্বপ্নকন্যা সাজবে আর তাকাবে
কাজল মাখা চোখ খানি দিয়ে আয়নার সম্মুকে,
হটাৎ দেখবে আয়নায় তার পিছনে
দাঁড়ানো অবস্থায় আমাকে।

আমি দেখে মুগ্ধ হব
আমার প্রিয়তমা স্বপ্নকন্যার রুপ,
সে রুপের যাদুতে আমি কাবু হব
আর বলব, স্বপ্নকন্যা তুমি অপরূপ।

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৩

কিছু প্রশ্নের উত্তর

সব কিছু বদলে গেল, নাকি শেষ হয়ে গেল
জীবনটা গুছালো, নাকি হল এলোমেলো,
পথ দুটি কি এক, নাকি ভিন্ন গন্তব্য
বলা হয়েছিল, নাকি হয়নি বলা শেষ বক্তব্য ?

আসলে সবকিছু বদলে গেছে শুধু পারলাম না আমি বদলাতে
পারলাম না জীবনটাকে সুন্দর করে গুছাতে,
ভেবেছিলাম পথ দুটি হবে এক, গন্তব্য হবে এক
কিন্তু পথ হল ভিন্ন আর কথা হল অনেক।

বলা হবে হবে করে হয়নি বলা মনের সব কথা
শুধু রয়েছে মনে, আমার পুরনো সেই ব্যথা,
ব্যথার আমি নিজেই করেছি সৃষ্টি
ব্যথা সহ্য করতে না পেরে ঝরে প্রতি রাতে চোখ হতে বৃষ্টি ।

আনমনা হয়ে থাকে আমার মন
তোমার আশায় জেগে জেগে স্বপ্ন দেখে সারাক্ষণ,
স্বপ্ন প্রকৃত স্বপ্ন নয়, এ যে একটি  আশা
তুমি আমার নও, তবুও আমি তোমার, এই হল ভালবাসা ।

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৩

নতুন কবিতার খাতা

অনেক কবিতা লিখেছি পুরনো কবিতার খাতায়
কবিতার মধ্যে বলেছি মনের কথা,
চিন্তা, ভাবনা, গবেষণা
এই সব নিয়ে পুরনো কবিতার খাতা পূর্ণ
হয়েছে  পৃষ্ঠা শেষ,
কিনে এনেছি তাই নতুন খাতা
লিখবো কিছু কবিতা বিশেষ।

আবার হবে লেখা নতুন কবিতা
লিখবো নতুন খাতায়,
নতুন করে বলব আমার কথা
পুরনো মনের অনুভূতি,
নতুন কিছু সৃতির হবে
নতুন পরিণতি।

শুধু খাতা নতুন নয়,
কলমটি ও আমার নতুন,
সব কিছু নতুন আজ
নতুন কবিতা লিখবো বলে,
ছন্দ সাজাবো নতুন করে
ছলে-বলে-কৌশলে।

কিন্তু নতুন খাতা অপূর্ণ
খাতা জুড়ে শূন্যতা,
শূন্যতার হয়েছে সৃষ্টি
নতুন কবিতার প্রয়োজনে,
ব্যস্ত তাই এখন আমি
নতুন কবিতার আয়োজনে।

মঙ্গলবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৩

পাখি

গাছের ডালে রয়েছে বসে
ছোট্ট দুটি পাখি,
পাখি দুটি করছে শুধুই
মিষ্টি ডাকাডাকি ।

কচি পাতায় তৈরি তাদের
শান্ত একটি  নীড়,
সেখান থেকে যায় যে দেখা
দূর সাগরের তীর।

পাখি দুটির রয়েছে নীড়ে
তিনটে তাদের ছানা,
দূর সাগরের তীরে যেতে
ছানাদের কঠোর মানা।

মা পাখিটির মনের গভীরে
ছানা হারানোর ভয়,
তাই পারেনা ছানারা তাদের
সমুদ্র করতে জয়।

শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০১৩

একটু খানি হাসি

হাসতে ভালবাসি আমারা সবাই
পৃথিবীতে এমন মানুষ নেই যে হাসতে চায় না,
ইচ্ছে থাকুক আর না-ই বা থাকুক
হাসতে তোমাকে হবেই।

তবে সব হাসি সমান নয়
রয়েছে হাসির মাঝেও ভিন্নতা,
কেউ হাসে সুখেতে, কেউ হাসে দূঃখতে।
কিন্তু একটু খানি হাসি পারে অনেক কিছু
পারে জীবনকে জীবন্ত করে তুলতে,
জীবনকে রঙ্গিন রঙ্গে রাঙ্গায়িত করতে।

হাসি যেন তাই এক মূল্যবান সম্পদ,
মায়ের কাছে সন্তানের একটু খানি  হাসি
অগনিত পরিমাণ স্বর্ন হতে দামী ,
পিতার মুখে একটু খানি হাসি ফুটাতে পারলে যেন
সার্থক সন্তানের জীবন ।

প্রেমিকের কাছে তার প্রেমিকার মায়াবী মুখের
একটু খানি হাসি স্বর্গ সমতুল্য,
ভাইয়ের কাছে বোনের, বোনের কাছে ভাইয়ের
একটু খানি হাসি সবই সুখের একটি অঙ্গ ।

রাস্তার ফুঁটপাতে বসবাসরত মানুষের মুখেও
ফুটে একটু খানি হাসি
যখন সে পায় সামান্য কিছু অন্ন ।

অভাব-অনটন, কষ্ট, ব্যর্থতাকে তোয়াক্কা না করে
যখন ফুটে ঠোঁটের কোণায় একটু খানি হাসি
বলব তখন সেই হাসি সব হাসি থেকে ভিন্ন ।

বৃষ্টির দিনে ঝড়ের সময়
ভাঙ্গা ছনের ঘরের ভিতর
যখন বৃষ্টির পানি প্রবেশ করে,
তখনো দরিদ্র কৃষকের স্ত্রীর মুখে ফোটে 
একটু খানি হাসি, সেই হাসি হল ভিন্ন,
কষ্টকর একটি হাসি ।

আসলে মানুষ হয়ে সবাই জন্মেছিতো
তাই হাসতে আমাদের হবেই,
জীবন হউক সুখের অথবা দূঃখের
একটু খানি যেন অনেক কিছু ।

বৃহস্পতিবার, ৮ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ৩

লজ্জা ভরা দুটি চোখ নিয়ে
স্বপ্নকন্যা আসবে আমার কাছে
নিজের লজ্জা ভাঙ্গাতে,
আমি দিব তার লজ্জা ভাঙ্গিয়ে
অপরিচিত সুখে ব্যস্ত হয়ে
প্রেমের ভেলাতে শয়ন করে
থাকবো মেতে ভালবাসার মেলাতে।

তখন ঘটবে লজ্জার অবসান
শরীল দুটি হবে এক
থাকবে হাতের উপর হাত,
কাটবে সেই সাথে খানিকটা আমাদের
সুখময় একটি রাত।

সেই রাতে হবে কথা
মুখে নয়, কথা হবে
শারীরিক একটি ভাষায়,
সুখ পাখি তখন আসবে কাছে
বন্ধী হয়ে মুক্ত একটি কাঁচায়।

বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৩

আমার প্রেমিকা

একটি মেয়ে,
মেয়েটি থাকতো অন্য প্রান্তে
যেন অন্য এক পৃথিবীর বাসিন্দা,
মেয়েটি ছিল ভিন্ন
সবার থেকে আলাদা।

সেই মেয়েটি ছিল শিশির ভেজা
পবিত্র গোলাপ ফুল,
চোখ খানি মেয়েটির যেন
নিষ্পাপ ধরণীর কুল।

যা দেখতো চোখ দুটি
তা-ই লাগতো ভাল,
মেয়েটির মাঝে ছিলনা কোন
একটু হলেও কালো।

বিশাল একটি মন মেয়েটির
সর্বদা ত্রুটি মুক্ত,
নিষ্পাপ এবং পবিত্র
অল্প খানিক শক্ত।

নরম শক্তের মিশ্রণ নিয়ে
জীবন হল তাহার,
কষ্টে মনটা মেয়েটির যেন
কাদামাটির একটি পাহাড়।

রাগ ছিল মেয়েটির অনেক
তাই ভাসতাম ভাল আমি,
সেই রাগটা আমার কাছে
হীরক হতে দামী।

রাগী মেয়েটি গুণবতী
মুক্ত দয়ার সাগর,
সেই মেয়েটিকে আমি দিয়েছি আঘাত
হয়ে নিষ্ঠুর একটি পাথর।

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্ন ভাঙ্গার গল্প

ছিলাম আমি ঘুমন্ত অবস্তায়
তীব্র নিদ্রায় জেগে,
শুনলাম হটাৎ বিকট গর্জনে
মনের আকাশ উঠলো কেঁপে মেঘে।

মেঘের গর্জনে দিল ফাটল
স্বপ্ন গেল ভেঙ্গে,
কষ্ট তখন দিল দেখা
হৃদয় নামক অঙ্গে।

অস্রু হল ঝর্ণাধারা
ঝরেছিল কষ্টে অবিরাম,
চোখ দু'টো ক্লান্ত হল
পেলনা কোন বিশ্রাম।

স্বপ্নগুলা আমার রঙ্গিন ছিল
আশা নিয়ে বুকে অনেক,
ভেঙ্গে যাওয়াতে বুদ হয় তাই
ঝরেছিল অস্রুর ফোটা বেশ কয়েক।

জেগে জেগে দেখে ছিলাম স্বপ্ন আমি
সেইজন্য হয়েছি অসহায়,
বল তুমি ঘুমন্ত অবস্তায় জাগ্রত হলে
স্বপ্ন কী দেখা যায়।

আমি বলি জাগ্রত হয়ে
যায় যে স্বপ্ন দেখা,
ঘুমন্ত অবস্তায় ঘুমহীন হয়ে
রেখে ছিলাম স্বপ্ন কিছু আঁকা।

বল্লে তুমি ঘুমন্ত অবস্তায় জাগ্রত হলে
স্বপ্ন কি সত্যি হয়,
ভাঙ্গা স্বপ্ন আসলে আজো
সত্যি হবার নয়।

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০১৩

স্বপ্নকন্যা এবং আমি ২

অজানা এক মেয়ে তুমি
অপরিচিত তোমার পরিচয়,
যখন আমি পাবো তোমার দেখা
তখন হবে মিষ্টি ভাবের কিছু বিনিময় ।
কিন্তু সঠিক সময় হয়নি এখন
সেই সময় হলে আসবে তুমি কাছে,
বলবে তুমি তোমার মনের কথা
তোমার হয় যত ইচ্ছে ।
সাজবে তুমি বধূ হয়ে তখন
শুভলগ্নে বসবে আমার পাশে,
দুজন থাকবো একটু ভিতু
প্রথম দেখায় থাকবে ভয় নিশ্বাসে ।