একটা সিনেমার গল্প লিখতে বসেছি রাতে,
সিনেমার নায়ক গিয়েছে বেড়াতে।
বেড়াতে গিয়ে সে পেল নায়িকার দেখা,
নায়িকা ছিল ফুল বাগানে একাকী বসে একা।
এক সময় নায়িকার চোখে চোখ পড়লো নায়কের চোখ,
এইভাবে হল তাদের প্রেম নামক অসুখ।
কিন্তু নায়িকার বাবার ছিল প্রচুর টাকা,
আর নায়ক হল পথের ভিখারি, পকেটে তার ফাঁকা।
নায়িকার বাবা তাই মেনে নিলেননা তাদের প্রেম,
তিনি বললে নায়ককে,
"এই দেখো আমার বিশাল বাড়ি
চারটে দামি কার,
তোমার নেই কিছু ছেলে
তুমি হলে বেকার।"
নায়ক তখন উঠলো ক্ষেপে, সে বলল,
"চৌধুরী সাহেব, আমি হতে পারি গরীব
তাই বলে নই ছোটলোক,
আমার আছে বিশাল বড়
একখানা বুক।
এই বলে সে বেড়িয়ে পড়লো রাজপথে,
কঠোর পরিশ্রম করলো সে দিন এবং রাতে।
দিন মজুরি করলো, টেলা টানলো, চালালো বিক্সা গাড়ি,
অনেক টাকা জমিয়ে সে কিনলো একটা বাড়ি।
তারপর সে ছুটে গেল নায়িকার বাবার কাছে,
গিয়ে বললো "চৌধুরী সাহেব, এখন আমার সব আছে।"
কিন্তু হটাৎ তখন ঘটলো ভিলেনের এন্ট্রি,
সঙ্গে তার অন্ত্র হাতে গুন্ডা কয়েকটি।
শুরু হল ভিলেনের সাথে নায়কের মারামারি,
নায়িকা নিয়ে তাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি।
অবশেষে ধীরে-সুস্তে আসলো পুলিশ বাহিনী,
বাংলা সিনেমায় দেরিতে আসা প্রধান তাদের নীতি।
"Hands Up" আইন তুলে নেবেন না নিজের হাতে,
অন্যথায় রাত পোয়াতে হবে জেল-হাজোতে।
অতঃপর পুলিন ধরে নিয়ে গেল গুন্ডাদের,
সুবুদ্ধি উদয় হল চৌধুরী সাহেবের।
শেষ-মেষ হাসিমুখে দিলেন তিনি
নায়কের হাতে নায়িকার হাত
এবং সিনেমা সমাপ্ত,
বাংলা সিনেমায় এই একই কাহিনী
যুগ যুগ ধরে চলিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন