রাতের পর রাত জেগে থাকি,
রাত আমাকে জাগায়,
আমিও রাতকে জাগাই।
কিন্তু কেন,
আমার সাথে রাতের কি এমন অভিমান?
কেন রাত সমগ্র পৃথিবী হতে
আমার সম্পর্ক ছিন্ন করে
একা করে দেয় আমাকে অন্ধকারে।
আমি তো কখনোই রাতকে পর ভাবিনি,
আমি বরাবর রাতকে ভেবেছি দিনের অঙ্গ।
ঠিক যেমনটা ভাবতাম
তোমাকে আমার অঙ্গ,
ঠিক যেমনটা তুমি ছিলে মানুষ
আর আমি ছিলাম তার ছায়া।
কিন্তু কেন রাত আমাকে পর ভাবলো,
কেন রাতের বিষণ্ণতে
স্বর্গ হতে বেড়াতে আসা ঘুম
বাসা বাঁধে না আমার চুক্ষুদ্বয়ে।
আমি উত্তর খোঁজি উপরোক্ত প্রশ্নাবলির,
আমার ভেতরের গৃহপালিত বস্তু
যাকে আমি অন্তর-আত্মা বলে ডাকি,
সেই গৃহপালিত বস্তু অট্টহাসিতে দেয় উত্তর।
বলে উত্তরে নিদ্রাহীনতার এই কারণ
নয় সামন্য, নয় তুচ্ছ বিষয়,
নয় জগৎ-সংসারে অদেখা,
নয় মিহি ভূমিকাময়।
আমি বিশদ বর্ণনা চাই,
জটিল হতে জটিলতর ভাষা
বোধগম্য নয় আমার।
গৃহপালিত অন্তর-আত্মা
তখন হাহাকার করে রুক্ষ স্বরে,
মলিন কণ্ঠে বলে উপসংহারে
এ যে প্রেমের অভিশাপ।
সে অভিশাপে অভিশপ্ত তুমি,
রাত্রির চোখে শাস্তিস্বরূপ
জাগতে হবে রাতের পর রাত,
জীবনের শেষ রাতেও তোমাকে
জাগাবে বিষাদের কালো রাত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন