শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১৪

অনাবশ্যক ভালোবাসা

আমি কারো ভালোবাসা চাই না,
আমি চাই না কেউ একজন আসুক আমার জীবনে,
চাই না সে এসে আমাকে ভালবাসুক,
আমাকে জড়িয়ে ধরুক। 

আমার কপালে তার হাত বুলানোর নেই কোনো প্রয়োজন,
নেই অযথা তাকে আমার চুমু দেয়ার প্রয়োজন। 

বিকেলে পথের ধারে একসাথে ফুচকা খাবো, 
অসম্ভব, আমি পারবো না।

প্রেমের মিষ্টি মিষ্টি কথা এইসব অযথা,
ভালো লাগেনা ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে কথা বলা।

কি দরকার তার মিথ্যে রূপের প্রসংশা করা,
রোজ রাতে ঘুমের ঘোরে তার সাথে দেখা করা।

কি দরকার এইসবের, 
অপ্রয়োজনে রাত্রি জাগা,
তার ভাবনায় জল ঝরিয়ে চোখ লাল করা, 
গুরুত্বহীন যত কর্মকান্ড।

আমি চাইনা এইসবের, 
চাইনা প্রেমের রাজপথে দাঁড়িয়ে থাকি,
পারবো না শ্লোগান দিয়ে বলি 
ভালোবাসি তোমাকেই।

এইসব আমার কাজ না
আমি কারো প্রেমিক হতে চাই না
কারো ভালোবাসা তাও চাইনা,
আমি একাই নিজের জন্য ভালোবাসা জন্ম দেই,
আমি একাই পারি নিজেকে ভালোবাসতে।

কেন নেবো তাহলে অন্যজনের ভালোবাসা?

বুধবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৪

অবুঝ বালিকা

মন বালিকার অবুঝ বড্ড
বুঝেনা কোনো বারণ,
অল্প বয়সে চঞ্চল সে
একটাই সেই কারণ।
মনের বয়স শিশু হয়ত
উদ্দিপনায় উড়ে পাখি,
বালিকা তোমার কৃষ্ণকালো
ভ্রুমর প্রিয় আঁখি।
গভীর ঘোরে ব্যস্ত অধর
পুষ্প স্মিগ্ধ স্পর্শ,
একে একে তোমার প্রতীক্ষায়
পালিয়েছে দীর্ঘ বর্ষ।
বালিকা তোমার চঞ্চল মন
স্থীর আমার মনে,
সেই ভাবনায় ভাবুক আমি 
প্রেম দেখি মোর নয়নে।
সেই প্রেম দেখোনা তুমি
অবুঝ বালিকা হয়ত তাই,
রঙ্গ-তুলিতে তোমার বুলি
মনশ্চুক্ষুতে রোজ সাজাই।


মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৪

প্রণয়ী মোর কবি

ভালবাসি সুখ, হাসিমাখা মুখ
ভালবাসি সবই,
আকাশের মেঘ, চোখ তুলে দেখ
কলম হাতে সেজেছি কবি।
হাতে রেখে হাত, কাটিয়েছি রাত
দেখেছি আকাশ নীল, 
করেছিল মানা, দিয়েছিল হানা
স্বপ্ন যত স্পনীল।
সে ছিল বাঁধন হারা, বলেছি একটু দাঁড়া
দিয়ে যা একটু দেখা,
সময় হয়নি তার, কষ্টের সমাহার
চলে গেল সে একা। 
আমায় নিল না সঙ্গে, রূপ তার অঙ্গে
রূপসী অভিমানী,
নিঠুর পরিচয়, ভাবের বিনিময়
কল্পনাতে রাজরাণী।
আমি ডাকি, প্রেম পাখি
ধরা দিয়ে যাও বুকে, 
সে বলে, নিজের ছলে
পাবো না কেউ তাকে।
আমি কেন বলি, পুষ্প কলি
তুমি কি নও কারো,
সে বলে শোনো, স্বপ্ন কেন বুনো
কল্পনায় প্রেম কেন গড়ো। 
আমি নউ তার, যে মেনে নেয় হার
যে কাপুরুষ-ভীতু,
আমি হব এক, রক্তাক্ত বিবেক,
হবো না প্রিয় ঋতু।
আমি শুনি তার কথা, যে লিখে যায় কবিতা
লিখে জীবনের গল্প, 
তার কাছে আমি, বড্ড দামী
সহজলভ্য নই অল্প।
যে ভালবাসে, লুকিয়ে হাসে
নিরবে ভেজায় চোখের পাতা,
যে স্বপ্ন বুনে, দূরত্ব মানে
শোনে না বলা যত কথা। 
যে নিরব, করে কলরব
করে যা অসাধ্য,
যার কাছে সুখ, ক্ষণস্থায়ী রোগ
যার কাছে প্রেয় নয় খাদ্য।
আমি হব তার, করবো পারাপার
হব তার স্বপ্ন বালিকা, 
তার হৃদয় আমার বাড়ী, আমি হব তার নারী
আমার নিয়ে হবে তার সব লিখা।
তার জীবনে, তার প্রতিক্ষণে
আমি হব তার ছন্ধ,
সে লিখবে, অগুছালো স্বরে বলবে
আমাতে তার ভাবনা প্রবন্ধ।

সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৪

রিমঝিম বৃষ্টির ও জোঁনাক

অবাধ আকাশে মেঘ বালিকার দলে
অঝর ধাঁরায় ঝরছে বৃষ্টি,
জোঁনাক ডাকে সেই খুশিতে
জোৎস্না রাতে চাঁদ মিষ্টি।

রিমঝিম ধ্বনি শ্রবণগোচর
সাথে জোনাকের আহবান,
বর্ষার রাতে দু'য়ে মিশে এক
মিলন মেলার গান।

বৃষ্টির সূরে সপ্তসূর
ঝরছে অঝর ধাঁরায়,
অবাক জোঁনাক হয়ে নির্বাক
বিস্মিত চোখে তাকায়।

কান পেতে তার হয় শোনা
রিমঝিম বৃষ্টিতে বাজে নূপুর,
যার পায়ে সাজলো আজি
আলতা রাঙ্গা গ্রীষ্ম দুপুর।

ক্লান্ত জোঁনাক সেই প্রহরে
আশ্রয় তাকে দেয় বৃষ্টি,
ক্লান্ত জোঁনাক শান্ত মনে
দেখে অপরূপ তার সৃষ্টি।

স্নান হলো সেই জলে জোঁনাকের
যেই জল কথা বলে,
মাতাল হাওয়ায় মাতলো জোঁনাক
রিমঝিম বৃষ্টির চলাচলে।

কবিতা নিয়ে ছড়া

লিখতে বসেছি ছড়া
লিখবো যা মনগড়া,
আজে-বাজে আসবে যা মাথায়,
লিখে যাবো কাঠপেন্সিলে
অংক কষার খাতায়।
অংক থাক এক পাশে
অন্য পাশে কবিতা,
কবিতা ছাড়া বুঝি না কিছু
কবিতাজুড়ে মধুরতা।
মৌ মাছি নয় তবু
মধুর সন্ধানে সন্ধানী,
কবিতা ছাড়া এই জীবন
বড্ড ভীষণ অভিমানী।

রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৪

দুরূহ বিদায়

চলে যাবার তাগিদে বারবার ফিরে আসি,
চোখের জলে নিজ নয়নে নয়ন ভাসিয়ে হাসি।
তারপরও বলি ভালবাসি দিবা-নিশি,
চন্দ্র-তারার মিলন খেলায় হাসে প্রেম রাশি রাশি।
নব যৌবনে প্রবীন মন শিশুতে রূপ নেয়,
বাদল দিনে মেঘলা আকাশ স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়।
শিশু মন পরে কাঁদে প্রবীন মনের উপদেশে,
নব যৌবনে গভীর বনে আঁধার আসে সর্বশেষে।
হিসাব-নিকাশ করে মন কবিতায় গল্প সাজায়,
মনের কষ্ট পথভ্রষ্ট নষ্ট হয়েছে হায়।
চলে যেতে চায় মন বিছিন্ন লোকালয়ে,
কিন্তু যাওয়া যায় না নিজ নয়নে নয়ন ভাসিয়ে দিয়ে।